356
Points
Questions
55
Answers
101
-
ব্যাংক এ বিভিন্ন category র অ্যাকাউন্ট আছে যেমনঃ Current Account, Savings Account, DPS, Basic Checking Accounts, Certificates of Deposit (CDs) Student account.
আপনি NID Card ছাড়া শুধুমাত্র Student account খুলতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আপনার যা যা লাগবে।
- আপনার ২কপি পাসপোর্ট সাইজ এর ছবি।
- কলেজ বা স্কুল এর ID Card , অথবা বেতন এর রাশিদ, অথবা প্রতিস্তান প্রধান এর প্রত্যায়ন পত্র ।
- আপনি যাকে নমিনি করে রাখতে চান তার NID Card এবং ২কপি পাসপোর্ট সাইজ এর ছবি।
এই সকল ডকুমেন্ট সহ আপনার নমিনি কে নিয়ে ব্যাংক এ যান। এবং বলুন ” আমি একটি স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে চাই।
পরবর্তী সকল কাজ ব্যাংক এর কর্মকর্তা করবে।
বিদ্রঃ যত দিন আপনার বয়স ১৮+ না হবে তত দিন পর্যন্ত আপনার অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করবে আপনার নমিনি।
এ ক্ষেত্রে আপনি যদি DBBL এ অ্যাকাউন্ট খোলেন তাহলে আপনি পাবেন ১টি Visa কার্ড। যেটা ব্যাবহার করে আপনি আপনার টাকা তুলতে পারবেন। আপনার নমিনির প্রয়োজন হবে না। আর আপনারা সবাই জানেন যে টাকা রাখার জন্য কোন নমিনির দরকার হয় না।
ধন্যবাদ।
না বুঝতে পারলে কমেন্ট করুন।
- 10143 views
- 1 answers
- 0 votes
-
আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। আপনার প্রশ্নের উত্তর পেতে আমার নিচের ভিডিও টি দেখুন।
ধন্যবাদ।
- 8012 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Thanks for your questions,
Affiliate is a marketing arrangement by which an online retailer pays a commission to an external website for traffic or sales generated from its referrals.
- 1072 views
- 2 answers
- 0 votes
-
আপনার প্রশ্ন টা শট কিন্তু এর উত্তর অনেক বিসদ। এখানে সংক্ষেপে উত্তর দিলাম। পরে বিসদ ভাবে ভিডিও সহ উত্তর দিব ইনশাল্লাহ
আপনি যে উপায়ে ব্যাক লিঙ্ক দিতে পারেন তা হল নিম্নরুপঃ
- Do-follow backlinks via Guest Post.
- Do-follow backlinks via Ask Questions and Give Answers.
- Do-follow backlinks via free templet/ WP theme and Plugins.
- Privet Blog Network.
- Blog Commenting.
- Web or Business Directory. https://www.linkworld.us/
- Forum Posting.
- Social Bookmarking
- Link Submission website
- Create free blog (blogger.com, wordpress.com, blog.com)
এই গুলর মাদ্ধমে আপনি ব্যাক লিঙ্ক দিতে পারেন। এ গুলো কিভাবে করবেন তার বিস্তারিত ভিডিও সহ দেয়া হবে ইনশাল্লাহ।
ধন্যবাদ আপনার প্রশ্নের জন্য।
- 6901 views
- 4 answers
- 0 votes
-
SEO কি?
SEO কথাটির পূর্ণ অর্থ হল – Search Engine Optimization. Search Engine Optimization কথাটির ভীতরে দুটি অর্থবহুল অংশ রয়েছে। একটি হচ্ছে Search Engine এবং অন্যটি হচ্ছে Optimization. তারমানে দাড়াচ্ছে SEO হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন-কে অপটিমাইজেশন করার এক ধরনের প্রযুক্তিগত ওয়েব কৌশল। বাংলাতে সংজ্ঞা দিলে বলা যায়, SEO হল কিছু নিয়মনীতি বা টেকনিক যার মাধ্যমে কোন একটা ওয়েবসাইট বিভিন্ন ধরনের Search Engine (google, yahoo, bing, msn, etc) থেকে বেশি পরিমাণে ভিজিটর/ট্র্যাফিক পেতে পারে। এটিকে অন্যভাবেও বলা যায়- বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন হতে কোন একটি ব্লগ/ওয়েবসাইটকে সার্চ রেজাল্টের ভাল অবস্থানে অথবা প্রথম পাতায় নিয়ে আসার কৌশল বা প্রক্রিয়াকেই Search Engine Optimization বলা হয়। SEO এর মাধ্যমে যে কোন ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিন এর প্রথমে পাতায় আনতে পারলে, ভিজিটর পাওয়ার সম্ভাবনাও অনেকাংশে বেড়ে যায়।
আরো সহজ ভাবে বোঝানোর জন্য এ ভাবে বলা যায়: ধরুন আপনি একটি গান / নাটক অথবা ১টি সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে চান।
তাহলে আপনি কি করেন?আপনি সাধারণত যে কাজটি করি তা হল google এ আমরা ঐ গানের লাইনটি লিখে বা নাটক বা সফটওয়্যার এর নাম লিখে search করি। এখন লক্ষ্য করুন আমরা search button press করার পর google কিছু website এর নাম দেখায় যেখানে আমরা ঐ গানটি বা নাটক বা সফটওয়্যার টি পেতে পারি। এভাবে google প্রতি page এ ১০টি ওয়েরসাইটএর নাম দেখায়।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে কেন কিছু সাইট প্রথম পেজে আসলো, আর কেনইবা বাকি ওয়েবসাইটগুলো পেছনের পেজে গেলো – google কি ইচ্ছা মত করছে নাকি এর পেছনে অন্য কোন কারণ আছে? নিশ্চয় প্রথমপেজের সাইটগুলোর মধ্যে বিশেষ কিছু আছে, যা অন্য সাইটগুলাতে নাই। এই বিশেষ কিছুই হল SEO এর কৌশল, যার মাধ্যমে আপনিও আপনার ওয়েবসাইটটিকে প্রথম পেজে নিতে পারেন। আর প্রথম পেজ মানেই বেশি বেশি ভিজিটর।See this video:
- 16400 views
- 1 answers
- 0 votes
-
আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। আমি সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করছি যে ” কিভাবে Do-follow ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করতে হয়?”
Do-follow backlink হচ্ছে off page SEO এর একটি গুরুত্বপুর্ন অধ্যায় । আমি প্রথমে আপনাদের সাথে ব্যাকলিঙ্ক নিয়ে একটু আলোচনা করি । কারন আমার মনে হয় যে আপনাদের জানা দরকার যে ব্যাকলিঙ্ক কি? এবং ব্যাকলিঙ্ক করা কেন দরকার?
How to create Do-follow backlinks? Do-follow ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করা যাই কয়েকটি উপায়ে। যেমনঃ1. Do-follow backlinks via Guest Post.
2. Do-follow backlinks via Ask Questions and Give Answers.
3. Do-follow backlinks via free templet/ WP theme and Plugins.
4. Privet Blog Network.
5. Blog Commenting.
6. Web or Business Directory.
7. Forum Posting.এবার দেখাব কিভাবে আপনার সাইটের জন্য কার্যকর ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করবেন ব্লগ কমেন্ট এর মাধ্যমে।
আমরা প্রথম এই ওয়েব সাইট প্রবেশ করি http://itinfoworld.com এটি একটি মান সম্মত ওয়েব সাইট । এখান থেকে আপনি ভাল ভিজিটর পেতে পারেন । তারপর এই সাইটের একটি পোস্টের মধ্যে প্রবেশ করুন ।
(নোটঃ যেই পোস্টের মধ্যে কিছু কমেন্ট আছে সেই পোষ্টের মধ্যে প্রবেশ করুন।)
তারপর পোস্টের নিচে দেখুন “leave a comment”
এই বক্সের মধ্যে পোস্টি সম্পর্কে কিছু কথা লিখুন এবং আপনার নাম, আপনার ইমেইল, এবং আপনার ওয়েবসাইট এর URL দিন । তারপর সাবমিট এ ক্লিক করুন । এখন সাইটের এডমিন আপনার কম্মেন্ট চেক করবে। যদি দেখে এটি কোন স্প্যম কমেন্ট নয়। তাহলে আপনার কমেন্ট শো করবে ।
(নোটঃ কখন স্প্যাম কমেন্ট করবেন না । আগে পোস্টি পড়ুন, তারপর পোস্ট সমপর্কে কিছু কথা লিখুন । তাহলে আপনি স্প্যামার হবেন না ।বিস্তারিত ভিডিওতে দেখুনঃ
- 10309 views
- 1 answers
- 0 votes
-
ব্যাকলিঙ্ক কি?
Backlink is an incoming hyperlink from one web page to another website.
বিস্তারিত বলি মনে করুন, আপনার একটি ওয়েব সাইট আছে, এবং আপনার ওয়েব সাইটের একটি এড্রেস হচ্ছে https://www.linkworld.us/article/ ।
আপনি অন্য একটি ওয়েবসাইট (www.globalwebshost.com) ভিজিট করলেন এবং ঐ সাইটে একটি পোস্ট দেখলেন খুব ভাল। তখন আপনি ঐ পোষ্ট সম্পর্কে কিছু কথা লিখে আপনার ওয়েব সাইটের লিঙ্ক দিয়ে দিলেন যে লিঙ্ক থেকে অন্য visitors আপনার ওয়েবসাইট এ আসতে পারে। ঐ লিঙ্ক কে ব্যাকলিঙ্ক বলে।
সহজ কথাই ব্যাকলিঙ্ক হল ১টি ইনকামিং লিঙ্ক। অর্থাৎ কোন ওয়েব সাইটে আপনার সাইটের লিঙ্ক থাকা টাই ব্যাকলিঙ্ক, এবং ঐ লিঙ্ক দিয়ে আপনার সাইটে ভিজিটর আসে তাই আমরা এটা কে ইনকামিং লিঙ্ক বলে থাকি ।এখন আসুন জেনে নিই আপনি ব্যাকলিঙ্ক কেন করবেন এবং কোন ধরনের ওয়েবসাইট এ সাইটে ব্যাকলিঙ্ক করবেন ?
আপনার ওয়েব সাইট থেকে ভাল পেইজ রেঙ্কের ওয়েবসাইটে আপনার সাইটের জন্য ব্যাকলিঙ্ক করুন । যে ওয়েবসাইটে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ভিজিটর আসে, সেই সাইটে আপনার সাইটের জন্য ব্যাকলিঙ্ক করুন । কারন এই লক্ষ লক্ষ ভিজিটর থেকে আপনি ১০০ জন ভিজিটর হলে ও পাবেন । তার মানে আপনি ব্যাকলিঙ্ক আপনার ওয়েবসাইট এর ভিজিটর বাড়ানোর জন্য।
NB: আপনার ওয়েব সাইটে ভাল কন্টেন্ট রেখে ব্যাকলিঙ্ক এর কাজ করুন । কারন আপনি যখন একটি ওয়েব সাইটে আপনার সাইটের জন্য ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করলেন তখন ঐ ওয়েব সাইটের চেয়ে ভাল কন্টেন আপনার সাইটে না থাকলে, ভিজিটর আপনার সাইটে এসে আবার চলে যাবে । ফলে আপনি ভিজিটর প্রাথমিক অবস্থাই ফেলেও পরে হারাতে থাকবেন । কারন আপনার সাইটে যদি উন্নত কন্টেন্ট না থাকে, তাহলে ভিজিটর আপনার সাইটে আসবে কি দেখে ।
- 5866 views
- 1 answers
- 0 votes
-
প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ
ডোমেইন কেনার পূর্বে যে দিক থেকে সতর্ক থাকতে হবে টা হলঃ
- ডোমেইন এর নাম নির্বাচন।
- company নির্বাচন।
ডোমেইন নেম নির্বাচন করার সময় লক্ষণীয় বিষয়ঃ
১। সহজবোধ্য নাম নির্বাচন করতে হবে, যাতে করে ভিজিটর সহজেই নাম মনে রাখতে পারে।
২। ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তুর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নাম দিতে হবে।
৩। সংক্ষিপ্ত নাম দেখতে সুন্দর, মনে রাখাও সোজা।
৪। বড় কোন কোম্পানির অনুকরণে নাম দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। যেমনঃ googlebd.com, yahooshop.com etc
৫। আপনার পছন্দের ডোমেইন নেম খালি আছে কিনা চেক করার জন্য এখানে দেখতে পারেন।ডোমেইন রেজিস্ট্রেশানের সময় সতর্কতাসমূহঃ
১। যার থেকে ডোমেইন কিনবেন তার সাথে ডোমেইন প্রাইস নিয়ে কথা বলে নিন।
২। পরের বছরের রিনিউ চার্জ জেনে নিন। কিছু কিছু প্রভাইডার দেখা যায় প্রথম বছর সল্প মূল্যে দিলেও পরের বছর অনেক চার্জ করে বসে। তাই ডোমেইন অফারের আওতায় কিনলে ডোমেইন রিনিউ প্রাইস জেনে নিবেন।
৩। ফুল কন্ট্রোল প্যানেল দিবে কিনা জিজ্ঞাসা করে নিবেন এবং অবশ্যই ফুল কন্ট্রোল প্যানেল আপনার কাছে রাখবেন। তাহলে পরবর্তীতে আপনি যে কারো থেকে রিনিউ করাতে পারবেন।
৪। ডোমেইন সম্পর্কিত যেকোন সমস্যায় প্রভাইডারকে জিজ্ঞাসা করবেন। আপনাকে অবশ্যই হেল্প করবে।উপরের সকল দিক বিবেচনা করে আমি পরামর্শ দেব গ্লোবাল ওয়েবস হস্ট থেকে কিনতে।
- 5986 views
- 2 answers
- 0 votes
-
আমরা যারা ইন্টারনেট সম্পর্কে জানি তাদের কাছে ডোমেইন হোষ্টিং নতুন কোন শব্দ হওয়ার কথা নয়। ডোমেইন হচ্ছে যেকোন ওয়েব সাইটের নাম । যেমন আমার ওয়েবসাইটের নাম হচ্ছে www.itinfoworld.org ।
যেমন আমার ডোমেইন হস্টিং company নাম : Global Webs Host.
আমার company এর নামের সাথে মিল রেখে ডোমেইন কিনেছি তাই আমার ডোমেইন হলঃ ” globalwebshost.com “
ডোমেইন কত প্রকার ও কি কি আসুন যেনে নেয়া যাকঃ
Domain আবার কয়েক ধরনের হয়ে থাকে।
TLD = Top Level Domain । যেমনঃ .com, .org, .net, ইত্যাদি। এগুলো হচ্ছে সর্বোচ্চ লেভেল এর Domain ।gTLD = Generic Top Level Domain । Top Level Domain গুলোর মধ্যে যেগুলো কোন দেশের সাথে সংশ্লিষ্ট না তাদেরকে gTLD বলে। .com, .org, .net, ইত্যাদি। কিছু সংখ্যক Generic Top Level Domain । আর .in, .pk ইত্যাদি Generic Top Level Domain নয়।
SLD = Sub Level Domain: Domain Name এর আগে কিছু থাকলে তাকে Sub Level Domain বা Sub-domain বলে। যেমন autoquotes.itinfoworld.com. এখানে itinfoworld.com হচ্ছে Top Level Domain আর quotes হচ্ছে Sub-domain । একটা Domain এ একাধিক Sub Level Domain থাকতে পারে। যেমন autoquotes.itinfoworld.com , knowledge.itinfoworld.com , lifestyle.itinfoworld.com , bankinsurance.itinfoworld.com , onlineedu.itinfoworld.com ইত্যাদি ।
ccTLD = Country Code Top Level Domain । বিভিন্ন দেশের নিজস্ব যেই ডোমেইনগুলো থাকে তারা হচ্ছে Country Code Top Level Domain । যেমন .bd (Bangladesh), .pk (Pakistan), .in (India) ইত্যাদি।
আরও বিস্তারিত জানুন এখান থেকে : What is domain name?
ওয়েবসাইট তৈরি করতে কোন ধরেনের ডোমেইন ব্যবহার করবেন?
আপনার নিজের বেক্তিগত বা company এর ওয়েবসাইট বানাতে অবশ্যয় আপনি Top Level Domain ব্যবহার করবেন।
হস্টিং সম্পর্কে জানুনঃ হস্টিং কি?
- 7404 views
- 2 answers
- 0 votes
-
আখতার হামিদ খান : ছিটমহল হচ্ছে একটি রাষ্ট্রের কিছু অংশ। যা অন্য একটি বা দুটি রাষ্ট্রের ভৌগোলিক সীমার মাঝে অবস্থিত। ছিটমহল শব্দটির ইংরেজি এনক্লেভ (ENCLAVE)। শব্দটির ইংরেজি কূটনৈতিক শব্দের অভিধানে অন্তর্ভুক্ত হয় ১৮৬৮ সালে। ফারসী ভাষা থেকে শব্দটি ইংরেজিতে আসে। এনক্লোভ এবং এর সঙ্গে সম্পাদিত কিছু শব্দ আগেই ফরাসী ও স্প্যানিশ ভাষায় ছিল। যার অর্থ ছিল কোনো কিছু দিয়ে ঘেরা, অন্তর্ভুক্ত, নির্দিষ্ট ইত্যাদি। এগুলো এসেছিল ল্যাটিন “clavus” এর তিন দশক পর আসে Exclave শব্দটি। EXCLAVE বোঝানো হয় একটি দেশের মাঝে আবদ্ধ থাকলে আর ENCLAVE ব্যবহৃত হয় দুটো দেশ দ্বারা ঘেরা থাকলে। যেমন-কালিনইনগ্রাদ রাশিয়ার এনক্লেভ নয় বরং এক্সক্লেভ। কারণ এটি লিথুয়ানিয়া এবং পোল্যান্ড দুটো দেশ দ্বারা বেষ্টিত থাকে। কিন্তু সাগরের মাধ্যমে সেখানে প্রবেশ করা যায়। সেটিকে ছিটমহল বলা যাবে না। যেমন-পর্তুগাল স্পেনের ছিটমহল নয় কিংবা গাম্বিয়া সেনেগালের ছিটমহল নয়। ছিটমহল নানা ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক এবং ভৌগোলিক কারণে সৃষ্টি হয়েছে। নদীর গতিপথ পরিবর্তনের জন্যেও অনেক জায়গায় ছিটমহল সৃষ্টি হয়েছে। ছিটমহলের মানুষের জীবনযাত্রা নানা সমস্যায় জর্জরিত। চলাচল, বিদ্যুৎ, কর্মসংস্থান, ঠিকানা ইত্যাদি বিষয়ে তারা বঞ্চিত। ইন্দো-বাংলাদেশ ছিটমহলবাসীর দুর্ভোগ এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। অবশ্য দুনিয়াজুড়েই এখন ছিটমহল সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চলছে। মূল রাষ্ট্র থেকে দূরে অবস্থিত অনেক এক্সক্লেভ এ স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছে।
সত্যিকার ছিটমহল : কিছু অঞ্চল এর মূল ভূখন্ডের সঙ্গে একখন্ড মরুভূমি বা ঐ অঞ্চলের কোনো জলস্রোত দ্বারা সংযুক্ত থাকে। ফলে এ অঞ্চলগুলোতে মূল ভূখন্ডের চেয়ে কোনো প্রতিবেশী দেশ দ্বারা সহজে প্রবেশ করা যায়। এ রকম অঞ্চলকে ব্যবহারিক ছিটমহল বলে। (যেমন : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মাঝে উত্তর-পশ্চিম কোন, স্প্যানীয় গ্রাম ওয় ডেসিভিস, যা স্পেন থেকে পাহাড়ের কারণে বিচ্ছিন্ন। প্রতিবেশী দেশ অ্যানডোরা থেকেই কেবল এ গ্রামে প্রবেশ সম্ভব)। কানেক্টিকাটে অবস্থিত গ্রীন উইচের আমেরিকান লেনে শুধু নিউইয়র্ক থেকেই প্রবেশ সম্ভব। কারণ এটি ইন্টার স্টেট ৬৮৪ দ্বারা কানেক্টিকাটের বসতি অংশ দ্বারা পৃথককৃত।জাতিগত ছিটমহল : জাতিগত ছিটমহল হলো একটি বৃহৎ জাতিগোষ্ঠীর মাঝে আরেকটি ভিন্ন জাতির সমাজ বা গোষ্ঠী। উদাহরণস্বরূপ ঘেটো, লিটল, ইতালী, ব্যারিওস, চায়না টাউন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এ অঞ্চলসমূহের ভাষা, সংস্কৃতি ও অর্থনীতি ভিন্ন। নাগারনো-কারাবাখ, আজারবাইজানের মাঝে আর্মেনীয় জাতিগোষ্ঠী। তবে এটি জাতিগত ছিটমহল কি না তা তর্ক সাপেক্ষ। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত নাগারনো-কারাবাখ যুদ্ধের পর অঞ্চলটি নিজেকে স্বাধীন হিসেবে দাবি করে। তবে আন্তর্জাতিক সমাজ কর্তৃক অঞ্চলটি স্বীকৃত হয়নি।
ছিটমহল দেশ : কিছু ছিটমহল সম্পূর্ণরূপে অন্য দেশ দ্বারা বেষ্টিত থাকা সত্ত্বেও তাদের অধিকারের কারণে তারা একেকটি সার্বভৌম দেশ হিসেবে বিরাজমান। এ রকম তিনটি সার্বভৌম দেশের অস্তিত্ব রয়েছে। দ্য রিপাবলিক অব মান মারিনো ইতালীর একটি ছিটমহল। যদিও ঐতিহাসিকভাবে দেশটি নিজেকে অ্যাড্রিয়টিক সাগরের ভূমি হিসেবে দাবি করেছে। ভ্যাটিক্যান সিটি ইতালীর রোম নগরের একটি ছিটমহল। দ্য কিডেস অব লিযোথো-দক্ষিণ আফ্রিকার একটি ছিটমহল। ঐতিহাসিকভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্ল্যাক হোমল্যান্ড ও ব্যানটাসট্যান্স ১৯৪৮ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত আপার থেইড শাসনাধীন ছিল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আইন অনুসারে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রেড ইন্ডিয়ানদের রিজার্ভেশনগুলোকে ‘ছিটমহল দেশ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কানাডায় রেড ইন্ডিয়ান রিজার্ভেশন এবং অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের রিজার্ভেশনও এই বিবেচনা বহাল আছে।ঐতিহাসিক ছিটমহল:
(১) পূর্ব পাকিস্তান (১৯৫৫-১৯৭১) : বর্তমানে বাংলাদেশ, ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তানের একটি ছিটমহল ছিল রাজধানী ইসলামাবাদ পশ্চিম পাকিস্তানে অবস্থিত হওয়ায় পশ্চিম পাকিস্তানকে মূল ভূখন্ড হিসেবে বিবেচনা করা যায়)। পাকিস্তানের পূর্ব ও পশ্চিম অংশে ১৮০০ কিলোমিটার বিস্তৃত বিদেশী অঞ্চল দ্বারা পৃথক ছিল। দেশটির ৭০ শতাংশ রফতানি পূর্ব পাকিস্তান থেকে করা হতো এবং বিভিন্ন কারণে পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তানের চেয়ে জনপ্রিয় ছিল।
(২) পূর্ব এশিয়া : ওয়েইমার রিপাবলিক আমলে এটি জার্মানীর ছিটমহল ছিল। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর যখন পোল্যান্ড পুনরায় বাল্টিক সাগরে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছিল, এটি জার্মানী থেকে পৃথক হয়। পূর্ব এশিয়া বর্তমানে তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত-রাশিয়ার কালিনইনগ্রাদ ও ব্লাস্ট, পোল্যান্ডের ওয়ার মেইল-মাসুরিয়ান ডিভোদশিপ এবং লিথুয়ানিয়ার ক্লেইপোদা দেশ।
(৩) তুর্কী : বর্তমান সিরিয়ায় অবস্থিত। বালাত জগারের কাছে সুলেমান শাহর কবর। এক সময় তুর্কী অঞ্চল হিসেবে বিবেচ্য ছিল। ১৯৭৩ সালে আলাদ হ্রদ খননের সময় কবরটি পুনরায় স্থানান্তরিত করা হয়।
(৪) নিষিদ্ধ নগরী : চীনের কিং ডাইনাষ্টির শেষ সম্রাট হেনরি পুরি ১৯০৯ সালে সিংহাসন লাভ করেন। কিন্তু ১৯৯১ এর বিপ্লবে কিং সেনাবাহিনী পরাজিত হয়। কিং রাজপরিষদ এবং নবগঠিত রিপাবলিক অব চায়নার সরকারের মাঝে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী এই রফা হয় যে, পুরি তার স¤্রাট উপাধি বজায় রাখবেন এবং নিষিদ্ধ নগরীতে অন্যান্য রাজপ্রাসাদ এবং অভিজাত পরিবারবর্গের ব্যবস্থাপনা করবেন। নিষিদ্ধ নগরীতে এখনো কিং ডাইনস্টির ড্রাগন পতাকা উড়তে দেখা যায়। । ১৯২৪ সালে রিপাবলিক অব চায়নার সরকার ১৯১১ সালের চুক্তি বাতিল করে দুয়ির সম্রাট উপাধিসহ নিষিদ্ধ নগরীতে তার বসবাসের অধিকার বিলোপ সাধন করে।
৫. মাউন্ড স্কোপাস : জেরুজালেমে অবস্থিত) : ১৯৪৮ ও ১৯৬৭-এর মাঝে ছয়দিনব্যাপী যুদ্ধের পর ইসরাইলের পশ্চিম জেরুজালেমের সঙ্গে এক হওয়ার আগে মাউন্ট স্কোপাস ছিল জর্দানের ভেতর ইসরাইলি ছিটমহল। রাজনৈতিকভাবে এটি এখনো একটি ছিটমহল। কারণ ইসরাইল কর্তৃক সংযোজিত অঞ্চলের সীমা রেখা এখনো চিহ্নিত হয়নি।
৬. ওয়াল ভিস বে : এটি নামিবিয়ার মাঝে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি ছিটমহল ছিল। ১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার এখতিয়ার থেকে নামিবিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত হয়।
৭. পশ্চিম বার্লিন : জার্মানির পুনরায় একত্রিত হওয়ার আগে এটি ছিল পূর্ব-জার্মানির মাঝে পশ্চিম জার্মানির ছিটমহল। পশ্চিম বার্লিনের অনেক ছোট এলাকা বার্লিনের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। সমগ্র বার্লিন চার মিত্রশক্তির শাসনাধীন ছিল। (পূর্ব জার্মানির মাঝে একটি ছিটহমল হিসেবে শাসিত) অর্থাৎ জার্মানির সংসদে বার্লিন কোনো ভোটদানকারী সদস্য পাঠাতে পারতো না এবং বার্লিনের জনগণকে বাধ্যতামূলকভাবে সেনা দলে যোগ দেয়া থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল।
৮. গাজার : ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত এটি ছিল পাকিস্তানের মাঝে ওমানের উপকূলীয় ছিটমহল।
৯. চেইখ যেড : আদেনের কাছে ফরাসি ছিটমহল।
১০. ফোর্ট অব যাও জোআও বাতিস্তা দি আজুদা কেল্লা : ১৯৬১ সাল পর্যন্ত এটি ছিল বেনিনের মাঝে পর্তুগীজ ছিটমহল।
এক রাষ্ট্রের মাঝে অন্য রাষ্ট্রের বিশেষ অংশ :
কখনো কখনো একটি দেশের কিছু ভূখন্ড অন্য দেশের মালিকানাধীন হয়ে থাকে। এসব অঞ্চল এ কারণে কিছু বিশেষ সুবিধা পায়। যেমন- কর প্রদান থেকে অব্যাহতি লাভ। এই এলাকাগুলো ছিটমহল নয়। এমন কিছু অঞ্চলের উদাহরণ :
(১) সেইন্ট হেলেনার লংউডে নেপোলিয়নের মূল কবর ফ্রান্সের অধীন।
(২) গুয়াসের সেন্ট পিটার পোর্টে ভিক্টর হুগোর বাড়ি- প্যারিস নগরীর অধীন।
(৩) ফ্রান্সের নরম্যান্ডি: দ্য নরম্যান্ডি আমেরিকান সিমেট্রি অ্যান্ড মেমোরিয়াল সেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রাণ দেয়া ৯৩৮৬ জন মার্টিন যোদ্ধার কবর অবস্থিত-যুক্তরাষ্ট্রের অধীন।
(৪) সুইজারল্যান্ডের সুভোরোড স্মৃতিসৌধ দ্বারা বেষ্টিত প্রায় ২৪ বর্গমিটার এলাকা রাশিয়ার অধীন।
(৫) ফ্রান্সের ডিসি স্মৃতিসৌধ যা ডিসি রিজের যুদ্ধের স্মারক। ১৯২২ সালে ফ্রান্সের সরকার প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সাধারণভাবে এবং ডিসি রিজের যুদ্ধে কানাডা সেনাবাহিনীর অবদানের জন্যে কানাডাকে ১ বর্গ কি. মি. এলাকা স্থায়ীভাবে দান করে দেয়।
(৬) বেলজিয়ামে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কিছু কবরস্থান- যথাযথ রাষ্ট্র— অধীন।
(৭) ইংল্যান্ডের রালিমেনে জন এফ কেনেডি স্মৃতিসৌধের আওতায় এ এলাকা জন এফ কেনেডি অ্যাক্ট ১৯৬৪ আইন অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের অধীন।
(৮) ইংল্যান্ডের অধীন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনায় অবস্থিত দুটো কবরস্থান। উভয় কবরস্থানেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ব্রিটিশ নাবিকদের কবর দেয়া হয়েছে।
(৯) যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ে কোয়ালাকেহয়া যেতে ২৫ বর্গফুট এলাকা। সেখানে ১৯৭৯ সালে জেমস কুবকে হত্যা করা হয়-ইংল্যান্ডের অধীন।
(১০) কোরার তিহুইনজা- এলাকাটি সার্বভৌমত্ব ব্যতীত ইকুয়েডরের অধীন।আশা করি আপনার উত্তরটি পেয়েছেন।
উত্তর টি সংগ্রহ করা হয়েছে দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকা থেকে। লিখেছেন আখতার হামিদ খান
This answer accepted by আব্দুল্লাহ. on April 29, 2019 Earned 5 points.
- 15267 views
- 1 answers
- 0 votes