Mohi Uddin's Profile
Brong
356
Points

Questions
55

Answers
101

  • মহান আল্লাহ্‌ কি নিরাকার, নাকি তার আকার আছে?

    অনেকেই বলে থাকেন, মহান আল্লাহ্‌র কোন আকার নেই। তিনি নিরাকার, তবে তিনি যখন যে রুপ ইচ্ছা সেই রুপ ধারন করতে পারেন।  এটা সম্পূর্ণ সত্য নয়। 

     তিনি যখন যে রুপ ইচ্ছা সেই রুপ ধারন করতে পারেন কিন্তু তিনি নিরাকার নন, তার আকার অবশ্যই আছে।  মহান আল্লাহ্‌ আকার সম্পর্কে  (সুরা শূরাঃ১১) তে বলা হয়েছে। “কোন কিছুই তার সদৃশ নয়, তিনি সর্বশ্রোতা সর্বদ্রষ্টা “

     

    মহান আল্লাহ্‌র আকার আছে। তিনি নিরাকার নন। তবে সেই আকার কেমন, তা কেউ জানে না। তিনি বলেছেন “কোন কিছুই তার সদৃশ নয়, তিনি সর্বশ্রোতা সর্বদ্রষ্টা ” (সুরা শূরাঃ১১) তাকে বেহেশতে দেখা যাবে। তার দীদারই হবে বেহেশতে সবচেয়ে বড় সুখ। মহানবী (সাঃ) স্বপ্নে আল্লাহকে দেখেছেন। তিনি বলেছেন, আমি আমার প্রতিপালককে সবচেয়ে সুন্দর আকৃতিতে দর্শন করেছি (৪)

    (৪) আহমাদ, তিরমিজী, সহিহুল জামে’ ৫৯নং

    (লেখক শাইখ আব্দুল হামিদ ফাইজি আল মাদানী)

    • 457 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • কাজের চাপে সময় পার করে নামায পিছিয়ে দেয়া কি বৈধ?

    গুরুত্বপূর্ণ ও সুন্দর একটি প্রশ্ন যা আমাদের সবার জানার দরকার।

    নিজের কাজ বা সৃষ্টির কাজ আগে করা এবং স্রষ্টার কাজ পিছিয়ে দেয়া বৈধ হতে পারে না। মহান আল্লাহ বলেছেন, “নিশ্চয় নামাযকে বিশ্বাসীদের জন্য নির্ধারিত সময়ে অবশ্য কর্তব্য করা হয়েছে। (নিসাঃ ১০৩)

    যুদ্ধ চলাকালেও নামায পিছিয়ে না দিয়ে “সালাতুল খাওফ” পড়ার নির্দেশ আছে। সুতরাং কাজের ফাঁকেই নামায আদায় করে নেওয়ার চেষ্টা রাখা জরুরী। কাজের কাপড় নোংরা হলেও পৃথক কাপড় রেখে নামায পড়তে হবে। মাঠে-ময়দানে ভিজে জায়গায় দাঁড়িয়েও নামায পরে নিতে হবে। একান্ত কেউ নিরুপায় হলে সে কথা ভিন্ন। যেমন রোগী ও মুসাফির জমা তাকদীম বা তা’খির করতে পারে। বৃষ্টির জন্যও জমা তাকদীম হতে পারে।

     

    এই উত্তরটি নেওয়া হয়েছে – এখান থেকে

    গ্রন্থঃ দ্বীনী প্রশ্নোত্তর
    অধ্যায়ঃ নামায

    (লেখক শাইখ আব্দুল হামিদ ফাইজি আল মাদানি)

    • 445 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • স্বামীকে পরকীয়া থেকে রক্ষা করার উপায়:

    আল্লাহ তাআরা আমাদেরকে ক্ষমা করুন।
    পরকীয়া নি:সন্দেহে দাম্পত্য জীবন, সন্তান-সন্ততির ভবিষ্যৎ এবং সামাজিক সুস্থতা ও স্থিতিশীলতার বিরাট হুমকি। এটি নিজের হালাল স্ত্রীর সাথে আমানতের খেয়ানত, প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতার শামিল এবং আল্লাহ তাআলা ক্রোধের কারণ।

    যাহোক, কোন স্বামী এই ফিতনায় জড়িয়ে গেলে স্ত্রীর করণীয় হল:

    ◼ ১. কুরআন-হাদিসের আলোকে তাকে পরকীয়া, অবৈধ প্রেমপ্রীতি ও যিনাব্যাভিচারের ভয়াবহতা, ইসলামী আইন অনুযায়ী দুনিয়াতে এর কঠিন শাস্তি, আখিরাতের আযাব, আল্লাহর অসন্তুষ্টি ইত্যাদি বিষয়গুলো বুঝানো। এ বিষয়ে কুরআন-হাদীসে পর্যাপ্ত ব্ক্তব্য রয়েছে। তাই এ সংক্রান্ত যে কোন ভালো ইসলামী বই বা ইসলামী আলোচনার ভিডিও কাজে লাগানো যেতে পারে।
    ◼ ২. তার হেদায়েতের জন্য দয়াময় আল্লাহর নিকট দুআ করা।
    ◼ ৩. স্ত্রীর মাঝে স্বামীর নিকট অপছন্দীয় কোন আচার-আচরণ থাকলে তা পরিবর্তন করা এবং যথাসাধ্য তাকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা। দাম্পত্য জীবনে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেক স্বামী-স্ত্রী এ বিষয়ে অজ্ঞতা বা অবহেলার কারণে সময়ের ব্যবধানে তারা দাম্পত্য জীবনের উষ্ণতা ও আবেদন হারায়। ফলে দুজনের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি হয় এবং অবশেষে ঈমানী দূর্বলতা, কুপ্রবৃত্তির তাড়না এবং শয়তানের কুমন্ত্রণায় তারা ভিন্ন পথ খুঁজা শুরু করে।
    ◼ ৪. প্রয়োজনে স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীকে ‌আরেকটি বিয়ে করার সম্মতি দেয়া।
    উল্লেখ্য যে, আল্লাহর দেয়া এ বিধানটির ব্যাপারে অনেক স্ত্রীর কঠোর ও ভয়াবহ আক্রমণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে অনেক দুর্বল ইমানদার স্বামী অবৈধ পথের দিকে পা বাড়ায়। এ ক্ষেত্রে স্ত্রীও এই অন্যায়ের জন্য দায়ী হিসেবে বিবেচিত হবে।
    ◼ ৫. সম্ভব হলে সাক্ষ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে পারিবারিক বা সামাজিক সালিশ অথবা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
    ◼ ৬. এগুলোর মাধ্যমে কোন উপকার না হলে হয় স্ত্রীকে ধৈর্য ধারণ করে স্বামীকে এ পথ থেকে ফিরানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। অন্যথায় সবশেষে তার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ করে পৃথক হয়ে যেতে হবে।

    আল্লাহু আলাম।
    ▬▬▬▬●◈●▬▬▬▬

    উত্তর প্রদানে:
    আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল (মাদানী)
    দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব

    • 456 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • বিবাহের কনে

    এক ব্যক্তি এক কুমারীর সাথে (প্রেম করে) ব্যভিচার করেছে, এখন সে তাকে বিবাহ করতে চায়। এটা কি তার জন্য বৈধ?

    যদি বাস্তবে তাই হয়ে থাকে, তাহলে ওদের প্রত্যেকের উপর আল্লাহ্‌র নিকট তওবা করা ওয়াজেব; এই নিকৃষ্টতম অপরাধ হতে বিরত হবে, অশালীনতায় পড়ার ফলে যা ঘটে গেছে, তার উপর খুব লজ্জিত হবে, এমন নোংরামীর পথে পুনরায় পা না বাড়াতে দৃঢ়সংকল্প হবে এবং অধিক অধিক সৎকাজ করবে। সম্ভবতঃ আল্লাহ উভয়কে ক্ষমা করে দেবেন এবং তাদেরকে পাপসমূহকে পুন্যে পরিণত করবেন। যেমন তিনি বলেন,

    “যার আল্লাহ্‌র সঙ্গে অন্য উপাস্যকে আহবান করে না, আল্লাহ যাকে যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে হত্যা নিষেধ করেছেন, তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যারা এগুলো করে তারা শাস্তি ভোগ করবে। কিয়ামতের দিন ওদের শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে এবং সেখানে তারা হীন অবস্থায় স্থায়ী হবে। তবে তারা নয়, যারা তওবা করে, (পূর্ণ) ঈমান এনে সৎকার্য করে, আল্লাহ ওদের পাপরাশীকে পুন্যে পরিবর্তিত করে দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। যে ব্যক্তি তওবা করে ও সৎকাজ করে, সে সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ্‌র অভিমুখী হয়।” (সূরা ফুরকান ৬৮-৭১ আয়াত)

    আর ঐ ব্যক্তি যদি ঐ মহিলাকে বিবাহ করতে চায়, তাহলে বিবাহ বন্ধনের পূর্বে এক মাসিক দেখে তাকে (গর্ভবতী কি না তা) পরীক্ষা করে নেবে। যদি (মাসিক না হয় এবং) তার গর্ভ প্রকাশ পায়, তাহলে তার বিবাহ বন্ধন ততক্ষণ পর্যন্ত বৈধ হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে সন্তান প্রসব করেছে। যেহেতু রসূল (সঃ) অপরের ফসলকে নিজের পানি দ্বারা সিঞ্চিত (অর্থাৎ গর্ভবতী নারীকে বিবাহ করে সঙ্গম) করতে নিষেধ করেছেন। ৫৪২ (আবূ দাঊদ) (লাজনাহ দায়েমাহ)

     

    অবৈধ প্রনয়ের মাধ্যমে কোট ম্যারেজ বা লাভ ম্যারেজ বৈধ কি? তাতে যদি মেয়ের অভিভাবক সম্মত না থাকে, তাহলে সে বিবাহ বৈধ কি?

    বিয়ের পূর্বে কোন যুবক যুবতীর ভালবাসা করা হারাম। অতঃপর আপোষে মেলামেশা ও ব্যাভিচার করা তো কবীরা গোনাহর পর্যায়ভুক্ত। আর ব্যাভিচার হল ১০০ চাবুক ও কারা শাস্তি ভোগের পাপ। পরন্ত বিবাহিত হলে মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার উপযুক্ত। অতঃপর যে মা বাপ কতো মায়া মমতার সাথে মানুষ করে, সেই মা বাপের মাথায় লাথি মেরে চোরের মতো পালিয়ে গিয়ে লাভ ম্যারেজ বা কোর্ট ম্যারেজ করে! কিন্তু সে বিয়েতে মেয়ের বাপ রাজী না থাকলে বিয়ে শুদ্ধ হবে না। যেহেতু নবী (সঃ) বলেছেন, “যে নারী তার অভিভাবকের সম্মতি ছাড়াই নিজে নিজে বিবাহ করে, তার বিবাহ বাতিল, বাতিল, বাতিল।” ৫৬৩ (আহমাদ, আবূ দাঊদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, দারেমী, মিশকাত ৩১৩১ নং)

    এমন চোরদের দাম্পত্য, চির ব্যভিচার হয়। যেহেতু তাদের বিবাহ শুদ্ধ নয়।

    তথ্য সূত্রঃ

    (লেখক শাইখ আব্দুল হামীদ ফাইজি )
    গ্রন্থঃ দ্বীনী প্রশ্নোত্তর
    অধ্যায়ঃ বিবাহ ও দাম্পত্য

    • 539 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • Brong Asked on October 30, 2019 in কম্পিউটার.

    cmd এর পূর্নরুপ হল Command (Command Prompt). cmd হল Computer এর উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য কমান্ড লাইন ইন্টারপ্রেটার।

    উইন্ডোজে আপনি গ্রাফিকাল ইন্টারফেস ব্যাবহার করে যেসব Default কাজ করতে পারবেন আপনি চাইলে প্রায় সকল কাজই কমান্ড লাইন ব্যাবহার করে করতে পারবেন। যদিও এটা লিনাক্স টামির্নালের মত অতটা শক্তিশালী না তবুও আপনি অনেক কাজই এর মাধ্যমে করতে পারবেন।

     

    • 645 views
    • 2 answers
    • 0 votes
  • তাদের কে বিশ্বাস করুন যাদের অনলাইনে সুনাম আছে।

    সুনাম যে আছে তা বুঝবেন কি করে? 

    ফেসবুক প্রোফাইল দেখবেন। যারা ধোঁকাবাজ তাদের ফেসবুক এর প্রোফাইল এ তাদের ওরিজিনাল নাম থাকে না।

     

    • 6325 views
    • 5 answers
    • 0 votes
  • ঈমান একটি আরবী শব্দ। এর সাধারণ অর্থ হলো— বিশ্বাস করা অর্থাৎ ঈমান মানে বিশ্বাস। এছাড়াও আনুগত্য করা, অবনত হওয়া, নির্ভর করা ইত্যাদি অর্থেও ঈমান শব্দটি ব্যবহৃত হয়।

    ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায়ঃ অন্তরে বিশ্বাস, মুখে স্বীকার ও কর্মে বাস্তবায়নকে ঈমান বলে।

     

    • 776 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • পাখি খেলে কি গুনাহ হবে?
    পাখির গোশত ভক্ষণের ক্ষেত্রে শরী‘আতের নির্দেশনা কি?
    কোয়েল পাখির গোশত বা ডিম খাওয়া শরী‘আত সম্মত হবে কি?

     

    আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তীক্ষ্ণ দাঁতবিশিষ্ট হিংস্র জন্তু এবং ধারালো নখ বিশিষ্ট পাখি খেতে নিষেধ করেছেন’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৪১০৫)। অতএব হাঁস, মুরগী, তিতির, হুদহুদ, রাজহাঁস, বক, সারস, উটপাখি, ময়ুর, চড়ুই, কোয়েল, ঘুঘু, কবুতর, পানকৌড়ী ইত্যাদি পাখি প্রজাতির প্রাণী ভক্ষণ করায় কোন বাধা নেই। কেননা এগুলি নখ দিয়ে শিকার করে না। পক্ষান্তরে যেসব শিকারী পাখি থাবা বা নখর দিয়ে শিকার করে সেসব পাখি যেমন- ঈগল, চিল, শকুন, কাক, পেঁচা, বাজ পাখি ইত্যাদির গোশত ও ডিম খাওয়া নিষিদ্ধ।

    • 760 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • “মসজিদে দুনিয়াবি কথা বলা হারাম”
    “মসজিদে দুনিয়াবি কথা বললে ৪০ বছরের আমল নষ্ট হইয়া যায়।” জ্বাল হাদীস!

    এ রকম কোন কথা আল্লাহর রাসূল (সঃ) বলেননি।

    বরং সহিহ হাদীসে একথা আছে যে আল্লাহর রাসূল মসজিদে বসেই মদীনা নামক রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন, সকল বিচার কার্য সম্পাদন করেছেন,অন্য দেশের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলেছে , যুদ্ধের পরিকল্পনাও করেছেন ,মাঝে মাঝে সাহাবীরা মসজিদে তীর-ধনুক দিয়ে প্রতিযোগীতা করেছেন (রাসূল সেখানে উপস্থিত থাকতেন )।

    উমর (রাঃ) সময় এক দেশের সেনা প্রধান তার সাথে দেখা করতে আসে , সে অর্ধ পৃথিবীর বাদশার কোন রাজ প্রাসাদ না দেখে অবাক হয়েছিল। কারণ সেখানেও মসজিদে বসেই রাজ কার্য পরিচালনা হত ।

    এমন কি হযরত শাহ জালাল( রঃ ) সিলেটে এসেই মসজিদ প্রতিষ্টা করেছিলেন এবং এখান থেকেই সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসলাম প্রচারের জন্য লোক পাঠাতেন,বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতেন।

    এগুলো কি দুনিয়ার কাজ না?

    এ হাদীস মানার ফলে যে ক্ষতি হয়ঃ
    ১/মসজিদে দুনিয়ান্যার কথা না বলতে দেয়ায় লোকেরা যত দ্রুত সম্ভব মসজিদ থেকে বের হয়ার চেষ্টা করে।মসজিদকে জেলখানার চেয়েও ভয়ঙ্কর মনে করে।
    ২/নামাযের সময় পরে সব সময় মসজিদ বন্ধ থাকবে। এর ফলে অনেক সময় সানী জামায়াত করা সম্ভব হয় না,অথচ রাসুল (সঃ) এতে উৎসাহ দিয়েছেন।
    ৩/মসজিদ নামাজ ছাড়া সমাজের আর কোন কাজে লাগবেনা বিধায় অনেক লোকই মসজিদে দান করাথেকে বিরত থাকে।
    ৫/নামযের সময় একজন আরেক জনের সাথে দেখা হয় কিন্তু অনেকেই একে অপরের সাথে ভালো করে কথাও বলেনা। ফলে সম্পর্ক বৃদ্ধি পায় না। অথচ জামায়াত নামাজের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে মুসলমানভাই মুসলমানভাইয়ের পারষ্পারিক সম্পর্ক বৃদ্ধি।

    এ জাল হাদীস ত্যাগ করলে যে লাভ হবেঃ
    ১/মসজিদে বসে যে কথা বলবে তা অশ্লিল হবেনা,মিথ্যা হবে না, অর্থাৎ মসজিদে বসে দুনিয়ার যে কথাই বলা হউক তা খারাপ হবে না।
    ২/মসজিদে বসে কেউ বিচার করলে ন্যায়ায় বিচার করবে,সাক্ষী দিলে সত্য দিবে কারণ তখন আল্লাহর ভয় বেশি কাজ করে।
    ৩/ মুসলমান গন মসজিদের দিকে আকৃষ্ট হবে।
    ৪/ ভাতৃত্ব দৃঢ় হবে।
    ৫/ খারাপ মানুষ ভালো মানুষের কাছে এসে ভালো কাজে অনুপ্রানিত হবে ।
    ৬/ আল্লাহর রহমতের ছায়ায় অনেক বেশি সময় কাটবে।
    ৭/পূর্বে বর্নিত ক্ষতি থেকে বাঁচা যাবে।

    আল্লাহ্‌ আমাদের সকল মিথ্যা থেকে বাঁচার তওফিক দান করুন। আমীন।
    সব শেষে রাসূল (সঃ) এর সেই হাদীস স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি ” তোমরা আমার উপর মিথ্যা আরুপ করবে না ”

    Fariya Fahim

    • 805 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • “মন ভাঙ্গা আর মসজিদ ভাঙ্গার সমান কথা” এটি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদিস নয় বরং লোকসমাজে প্রচলিত একটি উক্তি মাত্র। আমাদের সমাজে এ কথাটি মুখেমুখে প্রচলিত রয়েছে এবং শিল্পীরা গানের মধ্যে এ জাতীয় কথা বলে থাকে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি হাদিসের বক্তব্য নয়।
    ইসলামের দৃষ্টিতে কাউকে অন্যায়ভাবে কষ্ট দেয়া, কারো মনে আঘাত করা, কারো সাথে প্রতারণা করা, অঙ্গিকার ভঙ্গ করা, গালি দেয়া, মিথ্যাচার করা ইত্যাদি অত্যন্ত জঘন্য গুনাহের কাজ- তাতে কোন সন্দেহ নাই। তবে উক্ত কথাটিকে হাদিস মনে করা বৈধ নয়। কেননা তা কোনো হাদিসের কিতাবে পাওয়া যায় না।

    🌀 মুমিনদেরকে অন্যায়ভাবে কষ্ট দেয়া মারাত্মাক অন্যায় ও কবিরা গুনাহ (বড় পাপ)। এ বিষয়ে কুরআন-সুন্নাহর কতিপয় বক্তব্য উপস্থাপন করা হল:

    ❐ আল্লাহ তাআলা বলেন:
    وَالَّذِينَ يُؤْذُونَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ بِغَيْرِ مَا اكْتَسَبُوا فَقَدِ احْتَمَلُوا بُهْتَانًا وَإِثْمًا مُّبِينًا
    “যারা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে কষ্ট দেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে।” (সূরা আহযাব: ৮৫)

    ❐ আব্দুল্লাহ বিন উমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে উঠে উচ্চ স্বরে বলেন:

    يَا مَعْشَرَ مَنْ أَسْلَمَ بِلِسَانِهِ، وَلَمْ يُفْضِ الْإِيْمَانُ إِلَى قَلْبِهِ! لَا تُؤْذُوْا الْـمُسْلِمِيْنَ، وَلَا تُعَيِّرُوْهُمْ وَلَا تَتَّبِعُوْا عَوْرَاتِهِمْ ؛ فَإِنَّهُ مَنْ تَتَبَّعَ عَوْرَةَ أَخِيْهِ الْـمُسْلِمِ تَتَبَّعَ اللهُ عَوْرَتَهُ، وَمَنْ تَتَبَّعَ اللهُ عَوْرَتَهُ يَفْضَحْهُ وَلَوْ فِيْ جَوْفِ رَحْلِهِ

    ‘‘হে লোক সকল! তোমরা যারা মুখে ইসলাম গ্রহণ করেছো; অথচ ঈমান তোমাদের অন্তরে ঢুকেনি, তোমরা মুসলিমদেরকে কষ্ট দিও না। তাদেরকে লজ্জা দিও না। তাদের দোষ অনুসন্ধান করো না। কারণ, যে ব্যক্তি তার কোন মুসলিম ভাইয়ের দোষ অনুসন্ধান করলো আল্লাহ্ তা‘আলাও তার দোষ অনুসন্ধান করবেন। আর যার দোষ আল্লাহ্ তা‘আলা অনুসন্ধান করবেন তাকে অবশ্যই তিনি লাঞ্ছিত করে ছাড়বেন যদিও সে নিজ ঘরের অভ্যন্তরেই অবস্থান করুক না কেন’’। (তিরমিযী ২০৩২, মুসনাদে আহমদ, আবু দাউদ-হাদিসটি সহিহ, দ্রষ্টব্য সহিহ আবু দাউদ- আলবানী, হা/৪৮৮০)

    ❐ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেনঃ
    لاَ يَتَنَاجَى اثْنَانِ دُونَ وَاحِدٍ فَإِنَّ ذَلِكَ يُؤْذِي الْمُؤْمِنَ وَاللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يَكْرَهُ أَذَى الْمُؤْمِنِ
    “একজনকে বাদ দিয়ে দু’জনে কানাকানি করবে না। কেননা ইহা মুমিনের কষ্ট দেয়। আর আল্লাহ তা’আলা তো মুমিনকে কষ্ট দেয়া অপছন্দ করেন”।
    (সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত],অধ্যায়ঃ ৪১/ শিষ্টাচার, পরিচ্ছদঃ ৫৯. তৃতীয় ব্যাক্তিকে বাদ দিয়ে দু’জনে কানাকানি করবে না, হা/28250)

    ❐এছাড়াও হাদিসে এসেছে, আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লা জিজ্ঞেস করলেন:
    أَتَدْرُونَ ما المُفْلِسُ؟ قالوا: المُفْلِسُ فِينا مَن لا دِرْهَمَ له ولا مَتاعَ، فقالَ: إنَّ المُفْلِسَ مِن أُمَّتي يَأْتي يَومَ القِيامَةِ بصَلاةٍ، وصِيامٍ، وزَكاةٍ، ويَأْتي قدْ شَتَمَ هذا، وقَذَفَ هذا، وأَكَلَ مالَ هذا، وسَفَكَ دَمَ هذا، وضَرَبَ هذا، فيُعْطَى هذا مِن حَسَناتِهِ، وهذا مِن حَسَناتِهِ، فإنْ فَنِيَتْ حَسَناتُهُ قَبْلَ أنْ يُقْضَى ما عليه أُخِذَ مِن خَطاياهُمْ فَطُرِحَتْ عليه، ثُمَّ طُرِحَ في النَّارِ
    “তোমরা কি জান নি:স্ব কে?”
    সাহাবায়ে কেরাম বললেন: “আমাদের মধ্যে নি:স্ব তো সে যার কোন দিনার-দিরহাম বা অর্থ-সম্পদ নেই।”
    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “আমার উম্মতের মধ্যে সত্যিকার নি:স্ব হলো সেই ব্যক্তি যে কেয়ামতের দিন সালাত, সিয়াম ও যাকাতসহ অনেক ভাল কাজ নিয়ে উপস্থিত হবে, অথচ দুনিয়াতে বসে সে কাউকে গালি দিয়েছিল, কারো প্রতি অপবাদ দিয়েছিল, করো সম্পদ আত্নসাত করেছিল, কারো রক্তপাত ঘটিয়েছিল, কাউকে মারধোর করেছিল ফলে তার নেক আমলগুলো থেকে নিয়ে তার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পাওনা আদায় করা হবে। এভাবে যখন তার নেক আমলগুলো শেষ হয়ে যাবে ক্ষতিগ্রস্তদের দেয়ার জন্য আর কিছু থাকবে না তখন তাদের পাপগুলো তাকে দেয়া হবে ফলে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।” (সহিহ মুসলিম)

    আল্লাহু আলাম-আল্লাগ সবচেয়ে বেশি জানেন।

    ▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
    উত্তর প্রদানে:
    আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানী

    উৎসঃ ফেসবুক

    • 762 views
    • 1 answers
    • 0 votes