ইসলামের দৃষ্টিতে (Same Sex and Heandeling) সমকাম বা সম সেক্স ও হস্ত-মৈথন সম্পর্কে জানতে বিস্তারিত চাই।
ইসলামের দৃষ্টিতে (Same Sex and Heandeling) সমকাম বা সম সেক্স ও হস্ত-মৈথন সম্পর্কে জানতে বিস্তারিত চাই।
ইসলামের দৃষ্টিতে সমকাম বা হস্তমৈথুন সম্পর্কে নিচে দেয়া হল আমি যেগুলো জানি।
অবশ্যই ইসলামে homosexuality সম্পূর্ণ হারাম। এবং স্বাভাবিক ব্যভিচারের চেয়েও খারাপ।
লুত (আ) এর কওমকে (Sodom আর Gomorrah নগরী) আল্লাহ ধ্বংস করে দিয়েছিলেন যেসব কারণে এর মধ্যে সমকামিতা ছিল একটি।
১। রাসূল (স) বলেছেন,“যৌন উত্তেজনার সাথে নারীদের পারস্পারিক আলিঙ্গনও ব্যভিচারের শামিল।” অর্থাৎ যৌন উত্তেজনার সাথে এক নারী যদি অন্য নারীর সাথে পারস্পারিক স্পর্শ ও আলিঙ্গনও করে সেটাও ব্যভিচারের শামিল।
২। “যখন কোন পুরুষ অপর পুরুষে উপগত হয়,তখন আল্লাহর গযবের ভয়ে আল্লাহর আরশ কাপতে থাকে এবং আকাশ পৃথিবীর উপর ভেঙ্গে পরার উপক্রম হয়।ফেরেশতারা আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত হওয়া পর্যন- আকাশকে তার প্রান-সীমায় ধরে রাখে এবং সূরা এখলাছ তিলাওয়াত করতে থাকে।”
৩। রাসূল (স) বলেছেন,“সাত শ্রেনীর লোকের ওপর আল্লাহ অভিশাপ বর্ষন করেন,কিয়ামতের দিন আল্লাহ এদের দিকে তাকাবেন না এবং এদের জাহান্নামে প্রবেশের আদেশ দেবেন:সমকামীদের, জীব-জন্তুর সাথে সংগমকারী, কোন মহিলা এবং তার কন্যাকে এক সাথে বিবাহকারী, আপন বোনের সাথে ব্যভিচারী, কন্যার সাথে ব্যভিচারী এবং হস-মৈথনকারী। তবে এরা যদি তওবা করে তবে হয়তবা ক্ষমা পেতে পারে।”
৪। হাদিসে বর্নিত আছে,“কিয়ামতের দিন এক শ্রেনীর লোক এমন ভাবে উথিত হবে,তাদের হাত ব্যভিচারের ফলে অন-সত্তা থাকবে।যারা দুনিয়ার জীবনে হস-মৈথন করত।”
৫। “কোন পুংমৈথনকারী বিনা তওবায় মারা গেলে সে কবরে শূকরের আকৃতি ধারণ করবে।”
৬। “যে ব্যক্তি কোন পুরুষ বা নারীর মলদ্বারে সংগম করবে,আল্লাহ তাআলা তার দিকে তাকাবেন না।”(তিরমীযি,নাসায়ী)
৭। রাসূল (স) বলেছেন,“যে নিজ স্ত্রীর সাথে ঋতুমতী অবস্তায় সহবাস করে বা গুহ্যদ্বারে বা মলদ্বারে সংগম করে সে অভিশপ্ত।”(নিজের স্ত্রীর সাথে ঋতুমতী অবস্তায় অথবা মলদ্বারে সংগম করাও হারাম,ব্যভিচারের শামীল)
৮। রাসূল (স) বলেছেন,চোখের ব্যভিচার হচ্ছে দৃষ্টিপাত করা,মুখের ব্যভিচার হচ্ছে প্রস-াব করা,আর হাতের ব্যভিচার হচ্ছে কোন নারীকে স্পর্শ করা।
৯। বর্নিত আছে যে, একবার হযরত সুফিয়ান সাওরীর কাছে এক কিশোর এলে তিনি চিতকার করে বললেন: একে আমার কাছ থেকে সরিয়ে দাও।কারণ আমি স্ত্রীলোকদের সাথে একজন করে শয়তান দেখি, আর কিশোরদের সাথে দেখি দশজনেরও অধিক শয়তান।
১০। একবার হযরত ঈসা (আ) কোথাও যাওয়ার পথে এক ব্যক্তিকে আগুনে দগ্ধীভূত হতে দেখলেন।……তিনি জিগগেস করলে লোকটি বললেন,আমি এ কিশোরের প্রেমে পড়ে তার সাথে কুকর্মে লিপ্ত হয়েছিলাম।পরে আমাদের উভয়ের মৃত্যুর পর আল্লাহ আমাদেরকে এভাবে শাসি- দিচ্ছেন,আমি কিছুক্ষন আগুন হয়ে ছেলেটাকে পোড়াই আবার কিছুক্ষন পর ছেলেটা আগুন হয়ে আমাকে পোড়ায়।এভাবে এ শাসি- কিয়ামত পর্যন- অক্ষুণ্ন থাকবে।
১১। “ইবনে আব্বাস বলেন, অবিবাহিত কাউকে যদি সমকামিতায় পাওয়া যায় তাহলে তাঁকে পাথর মেরে হত্যা করতে হবে।” (আবু দাউদ, 38:4448 )
১২। “ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স) বলেছেন, অভিশপ্ত সে যে কিনা কোন পশুর সাথে সেক্স করে, আর অভিশপ্ত সে যে কিনা সেটা করে যা লুতের সম্প্রদায় করত।” (আহমাদ:1878)
১৩। “আবু সাইদ আল খুদ্রি বলেন, রাসুল (স) বলেছেন, একজন পুরুষ আরেক পুরুষের যৌনাঙ্গ দেখবে না। এক নারী আরেক নারীর যৌনাঙ্গ দেখবে না। এক পুরুষ আরেক পুরুষের সাথে অন্তত undergarment না পরে একই চাদরের নিচে ঘুমাবে না। এক নারী আরেক নারীর সাথে কখনও অন্তত undergarment না পরে একই চাদরের নিচে ঘুমাবে না।” (আবু দাউদ, 31:4007)
১৪। “সারা জাহানের মানুষের মধ্যে তোমরাই কি পুরূষদের সাথে কুকর্ম কর?
এবং তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্য সঙ্গিনী হিসেবে যাদের সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে বর্জন কর? বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।” (শুয়ারা ২৬:১৬৫-১৬৬)