তাওবাহ কী? কীভাবে করবো?
তাওবাহ কী? কীভাবে করবো?
তাওবাহ কী?
তাওবাহ অর্থ ফিরে আসা। কেমন ফিরে আসা? ইমাম হালিমি রাহ. বলেন, ‘যেন বান্দা (গুনাহ করার মাধ্যমে) আল্লাহর কাছ থেকে পালিয়ে (দূরে সরে) গিয়েছিলো এবং আবার তার প্রভুর কাছে ফিরে এসেছে।’ (শুয়াব ৩/২১)
কীভাবে করবো?
গুনাহ করে ফেললে লজ্জিত হয়ে, ক্ষমা চেয়ে আল্লাহর নিকট ফিরে আসাকে তাওবাহ বলা হয়। উত্তম হলো, পূর্বে দুই রাকাত নফল পড়ে নেয়া- তাওবাহর উদ্দেশ্যে। এটি আলী রা. থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে। নামাযের পর দু’আ করবেন আন্তরিকতার সাথে।
তাওবাহর শর্তাবলীঃ
ইমাম নাবাবী রাহ. বলেন, ‘প্রতিটি পাপ থেকে তাওবাহ করা ফরয। যদি এটি মানুষের অধিকার সম্পর্কিত না হয় তবে এর শর্ত তিনটি। এক. পুরোপুরিভাবে গুনাহকে ত্যাগ করা; দুই. আক্ষেপ ও অনুশোচনাবোধ করা; তিন. পুনরায় গুনাহ না করার দৃঢ় সংকল্প করা। এই তিনটির কোনো একটি উপাদান না থাকলে তাওবাহ কবুল হবে না ‘ (রিয়াদুস সলিহীন, ১৭)
**যদি গুনাহটি হয় এমন যে, কাউকে ঠকিয়েছেন বা কষ্ট দিয়েছেন, তবে তার কাছে মাফ চাইতে হবে, পাওনা আদায় করতে হবে।
আবার গুনাহ করলে কী করবো?
আমরা মানুষ, তাই গুনাহ হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। সেজন্য গুনাহ হওয়ার সাথে সাথেই তাওবাহ করতে হবে। খুব ভালোভাবে খেয়াল করুন কুরআনের আয়াতটি–
‘অবশ্যই আল্লাহ তাদের তাওবাহ কবুল করবেন, যারা ভুলবশতঃ মন্দ কাজ করে, অতপর **অনতিবিলম্বে** তাওবাহ করে।’ (সূরা নিসা, ১৭)
ভাই, দেখুন কী চমৎকারভাবে আল্লাহ আমাদেরকে বলছেন–
‘তারা কেনো আল্লাহর কাছে তাওবাহ করে না, ক্ষমা প্রার্থনা করে না? আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, দয়ালু!’ (সূরা মায়েদা, ৭৪)
আল্লাহ যদি ঘোষণা দেন, ‘যাও হে অমুক! তোমার সকল গুনাহকেই আমি ক্ষমা করে দিলাম!’ আমাদের অনুভূতিটা কেমন হবে?
ভাই, হতাশার কিছু নেই। আল্লাহ সত্যিই আমাদের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। তার জন্য দরকার, একনিষ্ঠতার সাথে তাওবাহ করা। ইবনে মাজাহ’র হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) এই সুসংবাদ দিয়েছেন যে, ‘পাপ থেকে তাওবাহকারী ব্যক্তি ঐ ব্যক্তির মতো, যার কোনো পাপই নেই।’ সুবহানাল্লাহ!