ব্যঞ্জনবর্ণ কাকে বলে? ব্যঞ্জনবর্ণ কত প্রকার ও কি কি?
ব্যঞ্জনবর্ণ কাকে বলে?
ব্যঞ্জনবর্ণ কত প্রকার ও কি কি?
ব্যঞ্জনবর্ণ কাকে বলে?
ব্যঞ্জনবর্ণ সম্পর্কে ভালো ধারণা অর্জন করতে হলে অবশ্যই ব্যঞ্জনধ্বনি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। তা না হলে এটা ভালোভাবে বোঝা সম্ভব নয়। এখানে সংক্ষিপ্ত করে বলছে বোঝার চেষ্টা করো আর ব্যঞ্জনধ্বনি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে এখানে ক্লিক করো।
“ব্যঞ্জনধ্বনি: যে ধ্বনি স্বরধ্বনির সাহায্য ছাড়া স্পষ্টরূপে উচ্চারিত হতে পারে না এবং যে ধ্বনি সাধারণত অন্য ধ্বনিকে আশ্রয় করে উচ্চারিত হয়, তাকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলে।
যেমন: ক্, খ্, গ্, ঘ্, প্, স্, ইত্যাদি। এই ধ্বনিগুলোকে প্রকৃষ্টভাবে শ্রুতিযোগ্য করে উচ্চারণ করতে হলে স্বরধ্বনির আশ্রয় নিতে হয়। যেমন: (ক্+অ=) ক; (গ্+অ=) গ; (প্+অ=) প ইত্যাদি।”
এখন, ব্যঞ্জনবর্ণ হল ব্যঞ্জনধ্বনির লিখিত চিহ্ন বা প্রতীক।
অতএব, ব্যঞ্জনবর্ণের সংজ্ঞা আমরা এভাবে দিতে পারি,
ব্যঞ্জনধ্বনির লিখিত চিহ্ন বা প্রতীককে ব্যঞ্জনবর্ণ বলা হয়।
আবার যেহেতু, ব্যঞ্জনধ্বনি অন্য স্বরধ্বনির সাহায্য ছাড়া স্পষ্টরূপে উচ্চারিত হতে পারে না তাই ব্যঞ্জনবর্ণ অন্য স্বরবর্ণের সাহায্য ছাড়া উচ্চারিত হতে পারে না। তাই ব্যঞ্জনবর্ণ এর সংজ্ঞা আমারা এভাবেও দিতে পারি।
“যে বর্ণ অন্য বর্ণের সাহায্য ছাড়া উচ্চারিত হতে পারে না তাকে ব্যঞ্জনবর্ণ বলে ।”
যেমন: ক, খ, গ, এই বর্ণ বলে কিন্তু স্বাধীনভাবে উচ্চারণ হচ্ছে না। এই বর্ণগুলোকে উচ্চারণ করার জন্য “অ” বর্ণের সাহায্য লাগবে যেমন, (ক্+অ=) ক; (গ্+অ=) গ; সুতরাং এই গুলো ব্যঞ্জনবর্ণ।
বাংলা ভাষায় এ ধরনের বর্ণ মোট ৩৯ টি আছে।
ব্যঞ্জনবর্ণ কি কি?
বাংলা ভাষায় এ ধরনের বর্ণ মোট ৩৯ টি আছে সুতরাং ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা মোট ৩৯ টি।
ক, খ, গ, ঘ, ঙ, চ, ছ, জ, ঝ, ঞ, ট, ঠ, ড, ঢ, ণ, ত, থ, দ, ধ, ন, প, ফ, ব, ভ, ম, য, র, ল, শ, ষ, স, হ, ড়, ঢ়, য়, ৎ, ং, ঃ, ঁ
ধন্যবাদ আপনার প্রশ্নের জন্য।
আমার এই প্রশ্নের উত্তরটি যদি ভালো লাগে তাহলে আমার ওয়েবসাইট ইউটিউব চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
আমার ওয়েবসাইটঃ https://www.knowledgeworldbd.com
আমার ইউটিউব চ্যানেলঃ https://youtube.com/knowledgeworldbd