ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর – Ishwar Chandra Vidyasagar
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর – Ishwar Chandra Vidyasagar
- জন্মঃ ১৮২০ সালে
- জন্মস্থানঃ মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে
- মৃত্যুঃ ২৯ জুলাই ১৮৯১ সাল
- পৈতৃক পদবিঃ গঙ্গোপাধ্যায়
- বিদ্যাসাগর উপাধি লাভঃ ১৮৪০ সালে তিনি সংস্কৃত কলেজ থেকে বিদ্যাসাগর উপাধি পান। ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা নামের স্বাক্ষর করতে।
- বিধবা আইন পাসঃ লর্ড ডালহৌসির শাসনামলে ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দের ২৯ জুলাই তার প্রচেষ্টায় বিধবা আইন পাস হয়। (এ বিষয়ক তার রচনা “বিধবা বিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক প্রস্তাব” (১৮৫৫) )
- বাংলা গদ্যের জনক বলার কারণঃ গদ্য সৃষ্টির প্রাথমিক পর্যায়ে শৃঙ্খলা, পরিমিতিবোধ ও যতিচিহ্নের ব্যবহার মাধ্যমে বাংলা গদ্যের অবয়ব নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এজন্য তাকে বাংলা গদ্যের জনক বলা হয়।
- জনশিক্ষা ও শিশু শিক্ষা মূলক রচনাঃ বোধোদয়, বর্ণপরিচয়, আখ্যান মঞ্জুরী, কথামালা। চেম্বার রচিত rudiment of knowledge অবলম্বনে “বোধোদয়” এবং ঈশপের fables অবলম্বনে “কথামালা” কথামালা রচনা করেন।
- উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের comedy of errors অবলম্বনে ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে ভ্রান্তিবিলাস রচনা করেন।
- হিন্দি ভাষায় লাল্লুজি রচিত “বেতাল পচ্চিসী” অবলম্বনে রচনা করেন “বেতাল পঞ্চবিংশতি”। এটি বাংলা ভাষায় প্রথম কাহিনীধর্মী গ্রন্থ। ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে প্রথম বিরাম চিহ্নের সফল প্রয়োগ করা হয় এই গ্রন্থে।
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মৌলিক রচনা এবং বাংলা গদ্য সাহিত্যের প্রথম শোকগাথা হল “প্রভাতী সম্ভাষণ“
- হাস্য রসাত্মক ব্যঙ্গ রচনাঃ অতি অল্প হইল, আবার অতি অল্প হইল ও ব্রজবিলাস এই তিনটি বই ছদ্মনামে লেখেন
- মহাকবি কালিদাস রচিত সংস্কৃত ভাষায় “অভিজ্ঞান শকুন্তলম” অবলম্বনে “শকুন্তলা” রচনা করেন।
- বিদ্যাসাগর রচিত ব্যাকরণ গ্রন্থটির নাম “ব্যাকরণ কৌমুদী” প্রকাশিত হয় হাজার ১৮৫৩ সালে।
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত “বর্ণপরিচয়” ক্ল্যাসিকের মর্যাদা লাভ করে ১৮৫৫ সালে।
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত একটি বিখ্যাত গ্রন্থ হল “রত্ন পরীক্ষা”