এটা কি সত্যি গল্প? নাকি শুধুমাত্র নৈতিক শিক্ষার জন্য বানানো হয়েছে?
প্রথমে গল্প টি ভালো করে পড়ুন তারপর উত্তর দিবেন। দয়া করে কেও উল্টা পাল্টা কিছু লিখবেন না। এই গল্পটি ফেসবুক থেকে আমি কপি করে দিয়েছি। এই ঘটনাটি আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। তাই জানতে চাই এর সত্যতা।
এটা কি সত্যি গল্প? নাকি শুধুমাত্র নৈতিক শিক্ষার জন্য বানানো হয়েছে?
“সমুদ্রের মাঝখানে এক জাহাজ প্রচন্ড ঝড়ের মধ্যে পরে লন্ডভন্ড হয়ে গেল। সেই জাহাজের বেঁচে যাওয়া এক যাত্রী ভাসতে ভাসতে এক নির্জন দ্বীপে এসে পৌছালো। জ্ঞান ফেরার পর প্রথমেইসে আল্লাহর কাছে প্রান খুলে ধন্যবাদ জানালো তার জীবন বাঁচানোর জন্যে। প্রতিদিন সে দ্বীপের তীরে এসে বসে থাকতো যদি কোনো জাহাজ সেদিকে আসে এই আশায়।কিন্তু প্রতিদিনই তাকে হতাশ হয়ে ফিরে আসতে হতো।এরই মধ্যে সে সমুদ্রতীরে তার জন্যে একটা ছোট ঘর তৈরী করে ফেললো। সমুদ্রের মাছ ধরে এবং বন থেকে ফলমূল শিকার সে বেঁচে থাকলো। এরই মধ্যে সে একদিন খাবারের খোঁজে বনের মধ্যে গেল। বন থেকে সে যখন ফিরে এলো তখন দেখলো যে তার রান্না করার চুলা থেকে আগুন লেগে পুরো ঘরটিই ছাই হয়ে গিয়েছে এবং তার কালোধোঁয়ায় আকাশ ভরে গিয়েছে। লোকটি চিৎকার করে উঠলো, ‘হায় আল্লাহ,তুমি আমারভাগ্যে এটাও রেখেছিলে!’ পরদিন সকালে একজাহাজের আওয়াজে তার ঘুম ভাঙলো। জাহাজটি সেই দ্বীপের দিকে তাকে উদ্ধারকরার জন্যই আসছিলো। সে অবাক হয়ে বললো, ‘তোমরা কিভাবে জানলে যে আমি এখানে আটকা পরে আছি! জাহাজের ক্যাপ্টেন জানালো, ‘তোমার জ্বালানো ধোঁয়ার সংকেত দেখে।’ যখন আমরা খুব বিপদে পরি তখন আমরাপ্রায় সবাই হতাশ হয়ে পড়ি। আমরা ভুলে যাই,’তিনিযা করেন তা আমাদের ভালোর জন্যেই করেন।’ তাই এরপর যখন আপনার ঘর পুড়তে থাকবে মনে রাখবেন এটা হয়তো সেই ধোঁয়ার সংকেত যা আপনাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করবে।”