গরমে পায়ের পাতা জ্বালাপোড়া করছে। এখন কি করব?
গরমে পায়ের পাতা জ্বালাপোড়া করছে। এখন কি করব?
গরমে পায়ের পাতা জ্বলাপোড়ালে কি করবেন?
পায়ের পাতা জ্বালাপোড়া করার কয়েকটি কারনঃ
১. ভিটামিন বি-এর উপাদান যেমন- থায়ামিন (বি-১), পাইরোডোক্রিন (বি-৬), সায়ানোকোবালামিন (বি-১২), নিকোটানিক এসিড ও রাউবোফ্ল্যাভিনের অভাবে পা জ্বালা এবং ব্যথা করে।
২. পরিবর্তিত বিপাকীয় ও হরমোনের সমস্যা (ডায়াবেটিস, হাইপোথাইরোডিসম)।
৩. কিডনি ফেইলুর (হিমোডায়ালাইসিস রোগী)।
৪. যকৃৎ (লিভার) ফাংশন খারাপ।
৫. কেমোথেরাপি।
৬. দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত মদ্যপান।
৭. ইলফিটিং বা ডিফেক্টিভ জুতা পরিধান।
৮. অ্যালার্জিজনিত কাপড় ও মোজা ব্যবহার করা।
৯. বংশানুক্রমিক অসঙ্গত স্নায়ু পদ্ধতি।
১০. স্নায়ু ইনজুরি, অবরুদ্ধ (ইনট্রাপমেন্ট) ও সংকোচন (কমপ্রেশন)।
১১. মানসিক পীড়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিও এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার হন।
গরমে পায়ের পাতা জ্বালাপোড়ায় করণীয়/প্রতিকার :
চিকিৎসার শুরু করার পূর্বেই রোগীর শারীরিক ও ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় রোগীকে আশ্বস্ত করতে হবে যে, চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ থেকে মুক্ত হওয়া যায়। সুপরিমাপের খোলা ও আরামদায়ক জুতা পরিধান করতে হবে এবং জুতা ব্যবহারের পাশাপাশি আরামদায়ক সুতার মোজা ব্যবহার করা উত্তম। পায়ের আর্চ সাপোর্ট, ইনসোল ও হিল প্যাড ব্যবহারে উপসর্গ লাঘব হবে।
পায়ের পেশির ব্যায়াম ও ঠাণ্ডা পানির (বরফ না) সেঁক উপসর্গ নিরাময়ে অনেক উপকারী। রোগ প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন যুক্ত খাবার সেবন করতে হবে এবং চিকিৎসায় ভিটামিন ইনজেকশন পুশ করতে হবে। মদপান ও ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত রাখতে হবে। স্নায়ু ইনজুরি, অবরুদ্ধ ও সংকোচন হলে যথোপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়। বার্নিং ফুট সিনড্রোম থেকে সুস্থ থাকতে হলে সবাইকে চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধে সচেষ্ট থাকতে হবে।