বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বিতর্কিত হবে কেন?
বন্ধুরা,
আপনারা সবাই জানেন যে ফেসবুক এ একটা ঝড় উঠেছে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বিতর্কিত বিষয়ে।
আমি জানিনা এই “বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বিতর্কিত হবে কেন?” এই বিষয়টি কে লিখেছেন। তবে আমি শুধুমাত্র এই যুক্তি গুলো খণ্ডানোর জন্য তার লেখা হুবহু কপি করে দিলাম প্রশ্ন অংশে। আর উত্তরে আমি এই যুক্তি খণ্ডানোর চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।
=========================
বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বিতর্কিত হবে কেন?
“এটাকে সংশোধন করা উচিত। মুসলিমরা একটু সচেতন হউন, আবেগে যা খুশি তাই বলা ঠিক না। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম রাস্ট্রের জাতীয় সংগীত শিরক মিশ্রিত হবে কেন ? কেন অস্পষ্ট হবে ? কেন লুকোচুরি থাকবে ?
এই সংগীতে আমাদের জাতির জন্য কল্যানকর কিছুই পাবেন না। এখানে কিন্তু আমাদের জাতিকে সতর্ক বা সচেতন করা হয়নাই বরং অসচেতনতার দিকেই ঠেলে দেয়া হয়েছে। কাল্পনিক জগতে পাঠানো হয়েছে।এছাড়াও এই সংগীতে অনেক ক্ষতিকারক দিক রয়েছে। যা একজন মুসলিমকে কাফেরও বানিয়ে দিতে পারে। সেখানে শুধু মায়ের প্রশংসা এবং মা ভক্তি দেখানো হয়েছে। এখন কবির এই মা কি কাল্পনিক দেশ মা’ নাকি বাস্তবিক দূর্গা মা, সেটা ভেবে দেখা জরুরী। তাছাড়াও দেশ মায়ের পূজা করাও কিন্তু ইসলামে নিষিদ্ধ।
সংগীতটি একবার গুরুত্বসহ দেখুন তাহলেই সচ্ছ ধারনা পাবেন ইনশাআল্লাহ্।
============000============
বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত:
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি ।
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি ॥
ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,
মরি হায়, হায় রে—
ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি ॥
কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো—
কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে ।
মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো,
মরি হায়, হায় রে—
মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি ॥
============000============
সংগীতটি একবার গুরুত্বসহ দেখুন তাহলেই সচ্ছ ধারনা পাবেন ইনশাআল্লাহ্।
জাতীয় সংগীত জুড়েই রয়েছে মা, মা আর মা!
এখন সাধারন ভাবেই প্রশ্ন আসতে পারে, কে এই মা ? কি তার পরিচয় ?
কবি এখানে কি দেশ মায়ের কথা বলেছে নাকি কবি তার নিজ ধর্মের কোন মায়ের কথা বলেছে?
আপনাদের কি মনেহয় ?
কেন মাদ্রাসা সহ ইসলামিক মাইন্ডের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই বিতর্কিত জাতীয় সংগীত চর্চা হয় না ?
এর প্রধান সমস্যাটা কোথায় ?
কবি যদি দেশ মায়ের প্রশংসাও করে থাকে তাহলেও সেটা ভুলের অন্তুরভুক্ত থাকবে।
আর যদি সে তার মূর্তি মায়ের প্রশংসা করে থাকে তাহলে সেটা মুসলিম জাতির জন্য খুবই মারাক্তক সমস্যার কারন হয়ে দাঁড়াবে। এক কথায় পরিস্কার! কোন মুসলিম মূর্তির প্রশংসা করতে পারে না এবং মূর্তির প্রশংসাকারী কেউই মুসলিম থাকতে পারে না।
আমি অনেকটা নিশ্চিত করে বলতে পারি মুশরিক কবি এই সংগীত জুড়েই সে তার মূর্তি মায়ের প্রশংসা করেছে। কবি দাবি করেছে, এই আকাশ এই বাতাস তার মূর্তি মায়ের। যা কবির প্রাণে বাজায় বাঁশি। কবি আরো দাবি করেছে, ফাগুনের আমের বনও তার মূর্তি মায়ের অঘ্র। এবং অঘ্রানে সে তার মূর্তি মায়ের মধুর হাসি দেখে থাকে। সংগীতে আরো বলা হয়েছে, কী আচঁল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে! অর্থাৎ, বটের মূলে এবং নদীর কূলে কূলে যেসব মন্দির গড়ে উঠেছে কবি সংগীতে সেটাই বুঝিয়েছে।
যতদ্রুত সম্ভব বিতর্কিত সংগীতটি সংশোধন করার দাবি জানাচ্ছি। নতুবা জাতিগত ঐক্যতা সম্ভব না।