সালাত ত্যাগের কাযা বা কাফফারা আছে কি? কুরআন এবং হাদিস এর আলোকে বিস্তারিত জানতে চাই।
সালাত ত্যাগের কাযা বা কাফফারা আছে কি?
কুরআন এবং হাদিস এর আলোকে বিস্তারিত জানতে চাই।
সালাত মুমিনের জীবনের এমন একটি ফরয ইবাদত যার কোনো বিকল্প নেই বা কাফ্ফারা নেই। যতক্ষণ হুশ বা চেতনা থাকবে সালাত আদায় করতেই হবে। দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে, দৌড়িয়ে, হেঁটে, ইশারায় বা যেভাবে সম্ভব সালাত আদায় করতে হবে। চেতনা রহিত হলে সালাত মাফ হয়ে যাবে।
কোনো বিশেষ কারণে একান্ত বাধ্য হয়ে দু ই এক ওয়াক্ত সালাত ছুটে গেলে কাযা করতে হবে। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে অনেক ওয়াক্তের সালাতের কাযা করার কোনোরূপ বিধান হাদীস শরীফে দেওয়া হয় নি। কারণ, কোনো মুসলিম সালাত পরিত্যাগ করতে পারে, এইরূপ চিন্তুা রাসূলুল্লাহ (সা) ও সাহাবীগণের যুগে ছিল না। সাহাবীগণ বলতেন, একজন মুসলিম অনেক পাপ করতে পারে, কিন্তু মুসলিম কখনো সালাত পরিত্যাগ করতে পারে না।
সালাত/নামাজ এমন এক ইবাদত যার কোন কাযা/কাফফারা নেই।
কি দিয়ে আপনাকে বোঝায়……
সিয়াম এত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত যার পুরুষ্কার আল্লাহ নিজ হাতে দিবেন।
তাবুও যদি আপনি অসুস্থ থাকেন অথবা সফরে থাকেন সিয়াম/রোজা কাযা করতে পারেন।
হজ্জ – আপনার টাকা আছে কিন্তু আপনি অসুস্থ। তাহলে অন্য কাউকে দিয়ে করাতে পারবেন।
কিন্তু নামাজ/ সালাত এমন এক ইবাদত যার কোন কাযা/কাফফারা নেই।
দাড়িয়ে নামাজ/সালাত আদায় করা ফরজ।
দাড়াতে পারেন না?
বসে নামাজ পড়ুন।
বসতে পারেন না?
শুয়ে নামাজ পড়ুন।
অসুস্থতার কারণে ওযু করতে পারছেন না?
তায়মুম করুন।
কাপড় নাপাক চেন্জ করার মত পরিবেশ/কাপড় নেই?
নাপাক কাপড়েই নামাজ পড়ুন।
কাপড়ই নেই?
উলুঙ্গ অবস্থায় নামাজ পড়ুন।
তবুও নামাজ মাফ নেই।
নামাজ/সালাত আপনাকে পড়তেই হবে।
সালাত/নামাজ অতি গুরুত্বপূর্ণ।
সালাত বাদ দিয়ে আপনি যত ইবাদত (সিয়াম/দান-সাদাকাহ/ যাকাত/হজ্জ ইত্যাদি) করেন তা বিচারের মাঠে কোন সফলতা আসবে না।
তাই সালাত কায়েম করুন। সালাত কায়েম করুন। সালাত কায়েম করুন।